“তিনটি গুণাবলী সবরের (ধৈর্য) অন্তর্ভুক্ত: নিজের দুর্দশার ব্যাপারে কথা না বলা, নিজের কষ্ট (সম্পর্কে কথা না বলা) এবং নিজের প্রশংসা না করা।”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
“কোন কিছুকে সংশোধন করতে আমার এত বেশি সংগ্রাম করতে হয়নি, আমার আত্মাকে বশ করতে আমার যত বেশি কঠিন লেগেছে ; কখনো আমি জয়ী হই, কখনো হই পরাজিত।”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
“তোমরা কি আমাকে দারিদ্রতার কথা ভাবিয়ে ভয় দেখাতে চেষ্টা করছ যখন যে একমাত্র বিষয় সুফিয়ান ভয় করে তা হলো এই দুনিয়ার সম্পদ তার উপরে ঢেলে দেয়া হবে!”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
“জ্ঞানের সৌন্দর্য্য ও গুরুত্ব কেবলমাত্র এই কারণে যে, এটা একজন ব্যক্তিকে আল্লাহকে ভয় ও তাঁর আনুগত্য করতে শেখায়। তা না হলে এটা অন্যান্য স্বাভাবিক বিষয়ের মত।”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
“নিয়্যাতের চেয়ে অন্য কোন কিছুর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা আমার কাছে বেশি কঠিন মনে হয়নি, কেননা নিয়্যাত তো সবসময় পরিবর্তন হতে থাকে।”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
“তাঁকে (অর্থাৎ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) অনুসরণ করাই হলো তাকে ভালোবাসা।”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
“নেতৃত্বের পদটি ছেড়ে দেয়া এই দুনিয়াকে (এবং তার আনন্দগুলোকে) ছেড়ে দেয়ার চেয়েও বেশি কঠিন।”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরিকে একবার আল্লাহর কুরআনের বাণী, “মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে” সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো, “দুর্বল বলতে কী বুঝানো হয়েছে?”
তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, “কোন পুরুষের পাশ দিয়ে একজন নারী গেলে সে নারীটির দিকে তাকানো থেকে নিজেকে সামলাতে পারে না এবং এতে (নারীটির দিকে তাকানোর মাঝে) তার কোনই উপকার নেই। এর চেয়ে বেশি দুর্বল আর কোন কিছু আছে কি?”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ) একটি চিঠিতে লিখেছিলেন: “তোমার ব্যক্তিগত ও গোপন জীবনকে উন্নত করো, আল্লাহ তোমার সামাজিক ও প্রকাশ্য জীবনে উন্নতি দান করবেন। তোমার এবং আল্লাহর মধ্যকার বিষয়গুলোকে ভালো করো, আল্লাহ তোমার সাথে মানুষের মধ্যকার বিষয়গুলোকে ভালো করবেন। আখিরাতের জন্য পরিশ্রম করো, আল্লাহ তোমার পার্থিব বিষয়গুলোর জন্য যথেষ্ট হবেন।”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
“মানুষকে তার করা (ভালো) কাজগুলোর অনুপাতে ভালোবাসো। যখন তোমাকে কোন ভালো কাজ করার জন্য আহবান করা হয় তখন বিনয়ী এবং নমনীয় হও এবং যখন কোন পাপকাজ করতে ডাকা হয় তখন কঠোর এবং বেপরোয়া হও।”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
“ভরপেট খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হোন কেননা এটা অন্তরকে কঠিন করে দেয়। সেই সাথে রাগকে সংযত রাখুন এবং অতিরিক্ত হাসাহাসি করবেন না, কেননা মাত্রাতিরিক্ত হাসাহাসিতে অন্তর মরে যায়।”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
“আলেমগণের উদাহরণ হলো বৃষ্টির মতন, তারা যেখানেই গমন করেন সেখানেই কল্যাণ হয়।”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
“সেই ব্যক্তির কাছ থেকে দূরে থাকুন যে ভালোবাসে তার মতামত সবাই অনুসরণ করুক, যে পছন্দ করে তার অভিমত সবাই জানুক এবং তা ছড়িয়ে যাক।”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
“জ্ঞান অর্জন করো। যখন তুমি জ্ঞানার্জন করবে, তখন তা দৃঢ়ভাবে ধরে রাখ এবং তাকে পালাতে দিয়ো না। হাসিঠাট্টা আর খেলার সাথে জ্ঞানকে মিশ্রিত করো না; নইলে তোমার হৃদয় তার ভেতর থেকে তোমার অর্জিত জ্ঞানকে উগড়ে ফেলে দেবে।”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
“কখনো কখনো কোন মানুষ আমার কাছে এসে এমন হাদিস বর্ণনা করে যা আমি তার মা তাকে জন্ম দেওয়ার আগে থেকে জানি। তবুও উত্তম আচরণ হিসেবে সে যা বলে তা আমি শুনি (যেন আমি আগে তা শুনিনি)।”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
“যে ব্যক্তি ভালোবাসে লোকে তার মতামত জানার জন্য তাকে প্রশ্ন করুক, সে মতামত জানতে চাওয়ার যোগ্য কোন ব্যক্তি নয়।”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
“তারা তো এই পৃথিবীতে যেসব দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণার মুখোমুখি হয় তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না; আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাদের সমস্ত কষ্টের প্রতিদান হিসেবে দিবেন জান্নাত।”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
“তোমার বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ হোক এমনটা চাইলে (যেই মেয়েকে বিয়ে করতে চাও তার) মাকে উপহার দাও।”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
“আমাদের দৃষ্টিতে একজন মানুষের ততক্ষণ পর্যন্ত দ্বীন-ইসলামের গভীর জ্ঞান অর্জিত হয় না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে দুঃখ-কষ্ট ও কঠিন সময়গুলোকে রাহমাত হিসেবে মনে না করে এবং আরাম-আয়েশ ও আভিজাত্যকে পরীক্ষা হিসেবে মনে না করে।”
— সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)
" সুফিয়ান আস-সাওরি (রাহিমাহুল্লাহ)"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
সুন্দর স্বাবলম্বী ভাষায় কমেন্ট করার অনুরোধ রইলো.....