“কুর’আন থেকে যারা দূরে সরে যায় তাদের অস্থিরতা বেড়ে যায়, তাদের জীবনটা অগোছালো হয়ে যায়, এলোমেলো হয়ে যায়।”
— শাইখ আব্দুর রহমান মাদানী
”একজন পুরুষের সাথে দ্বীনদার নারী হলেন রাজার মাথায় স্বর্ণখচিত মুকুটের মতন, অন্যদিকে একজন পুরুষের সাথে খারাপ নারী হলো বৃদ্ধ ব্যক্তির মাথায় চাপানো ভারী বোঝার মতন।”
— আব্দুল-রাহমান ইবনে আবজা
“তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো যাদের দ্বীনদারী তোমার চাইতে বেশি এবং দুনিয়াদারী তোমার চাইতে কম।”
— উসমান ইবনে হাকিম
কাসিম আল-জুয়ী বলেছিলেন,
আমি তোমাকে পাঁচটি কথা দিয়ে উপদেশ দিচ্ছি:
(১) তোমার সাথে কেউ অন্যায় করলে, তুমি অন্যায় ব্যবহার করবেন না।
(২) তোমার প্রশংসা করা হলে খুশি হবে না।
(৩) সমালোচিত হলে বিচলিত হয়ে যাবে না।
(৪) তোমাকে অবিশ্বাস করা হলে রাগ করবে না।
(৫) লোকে যদি তোমার সাথে প্রতারণা করে, তুমি তাদের সাথে প্রতারণা করবে না।
[ইবনে আল জাওযী, সিফাতুস সাফওয়া, ২/২০০]
“একজন বান্দার জন্য সবচেয়ে জঘন্য পাপগুলোর একটি হলো তার নিজের পাপকাজগুলোকে ছোট করে দেখা।”
— মুহাম্মাদ বিন আবু-বকর আস-সিদ্দিক
“মুনাফিকের জ্ঞান তার কথাবার্তার মাঝে, মু’মিনের জ্ঞান তার কাজের মাঝে।”
— আবদুল্লাহ ইবনে আল-মু’তাজ
“একজন মা হলো প্রথম শিক্ষালয়। মা যদি দ্বীনদার হন তবে সেই বংশের সন্তানরা দ্বীনদার হয়।”
— আন-নাজমী
“আল্লাহর প্রতি (কোন ব্যক্তির) ভালোবাসা থাকার প্রমাণ হলো তাকে (আল্লাহকে) স্মরণ করা (যিকির) বাড়িয়ে দেয়া। নিশ্চয়ই তোমরা এমন কিছুকে ভালোবাসো না যা তোমরা বেশি বেশি করে স্মরণ করো না।”
— রাবী ইবনে আনাস
“হে আমার সন্তান! নারী হলো পুরুষের প্রশান্তিস্বরূপ। কিন্তু পুরুষ তার সাথে থাকতে পারে না যদি তারা দু’জন একই মতের না হয়। তুমি যদি কোন নারীকে বিয়ে করতে চাও, তাহলে তার পরিবার সম্পর্কে জেনে নাও। যে গাছের শেকড় দৃঢ় তার ফল ভালো হয়।”
— আল-খাত্তাব আল-মাখজুমি
হুযাইফা ইবনে আল-ইয়ামান (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেনঃ
“এখনকার সময়ে তোমাদের মাঝে যারা মুনাফিক আছে তারা রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সময়ের মুনাফিকদের চাইতেও বেশি নিকৃষ্ট।”
তাকে প্রশ্ন করা হলো, “হে আবু আব্দুল্লাহ, সেটা কীভাবে সম্ভব”?
তিনি উত্তর দিলেন, “সেই সময়ের (রাসূলুল্লাহর সময়ের) মুনাফিকরা তাদের নিফাক (ভন্ডামি) সবার কাছ থেকে লুকানোর চেষ্টা করতো। অথচ এখনকার সময়ে যারা মুনাফিক তারা নিফাক (ভন্ডামি) করে প্রকাশ্যে।”
[আল-বুখারী, ৭১১৩]
“যখন তোমার বাল্যকাল তখন তুমি অন্য বালক/বালিকদের সাথে খেলাধূলাতে ব্যস্ত থাকো।
যখন তোমার যৌবনকাল তখন তুমি আমোদপ্রমোদে ডুবে থেকে অবহেলায় জীবন কাটাও।
যখন তুমি বার্ধক্যে পৌঁছে যাও তখন তুমি শক্তিহীন দুর্বল হয়ে পড়ো।
তাহলে তুমি কবে কেবল আল্লাহর জন্য তোমার কাজগুলো করবে?”
— আবু আল-লাইস আস-সামারকান্দী
আপনি যদি বিয়ে করতে আগ্রহী হন, তাহলে সম্ভাব্য জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীর মধ্যে যেন তিনটি বিষয় থাকে তা চেয়ে আল্লাহর কাছে দু’আ করুন:
১) হে আল্লাহ! এমন একজন সঙ্গী দান করুন যে আমাকে আপনার কথা স্মরণ করিয়ে দিবে।
২) হে আল্লাহ! এমন একজন সঙ্গী দান করুন যে জান্নাতে আমার হাত ধরে ঘুরে বেড়াবে।
৩) হে আল্লাহ! এমন একজন সঙ্গী দান করুন যে আমার ঈমানকে বাড়িয়ে দিবে।
— শাইখ মুসলেহ খান
“নিয়াতের ব্যাপারে শিখুন কেননা এটা কাজের চাইতেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
— ইয়াহইয়া ইবনে আবি কাসির
“যখন একজন জ্ঞানী ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে থাকে, তখন তার উচিত তার সম্মানিত ‘আলেমসুলভ জ্ঞান-বুদ্ধি কোন একটি কোণায় রেখে দিয়ে খুনসুঁটি, হাসিঠাট্টা ও কৌতুক (শুরু) করা যেন তার স্ত্রীর নিজ প্রাপ্যগুলো পেতে পারে।”
— ইবনে আকীল
সা’ঈদ আস সা’ইবকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো, “আজ আপনি কেমন আছেন ?”
তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, “পূর্বঘোষণা ছাড়াই যে হাজির হয়, সে মৃত্যুর জন্য আজ আমি অপেক্ষা করছি ।”
একজন সালাফ বলেছিলেন:
“যারা সবকিছু থেকে নিজেদের সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর দিকে ঘুরিয়ে নেয়, আল্লাহও তাদের দিকে পুরোপুরিভাবে ঘুরে যান। যারা আল্লাহর কাছ থেকে সম্পূর্ণভাবে দূরে সরে যায়, আল্লাহও তাদের কাছ থেকে পুরোপুরিভাবে দূরে সরে যান।”
আসমা বিনতু আবু বকরের (রাদিয়াল্লাহু আনহা)মধ্যে সততা, দানশীলতা, মহত্ব ও প্রখর বুদ্ধিমত্তার মত এমন সব সুষম চারিত্রিক গুণাবলীর সমন্বয় ঘটেছিল যা ছিল বিরল। তার দানশীলতা তো একটি প্রবাদে পরিণত হয়েছিল। তার ছেলে আবদুল্লাহ বলেন:
“আমি আমার মা আসমা ও খালা আয়িশা থেকে অধিক দানশীলা কোন নারী দেখিনি। তবে তাঁদের দু’জনের দান প্রকৃতির মধ্যে প্রভেদ ছিল। আমার খালার স্বভাব ছিল, প্রথমতঃ তিনি বিভিন্ন জিনিস একত্র করতেন। যখন দেখতেন, যে যথেষ্ট পরিমাণ জমা হয়ে গেছে, তখন হঠাৎ করে একদিন তা সবই গরীব মিসকীনদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন। কিন্তু আমার মা’র স্বভাব ছিল ভিন্নরূপ। তিনি আগামীকাল পর্যন্ত কোন জিনিস নিজের কাছে জমা করে রাখতেন না।”
“আমাদের সমস্যা আধ্যাত্মিকতায়। যদি একজন মানুষ আমার সাথে মুসলিম বিশ্বে কী কী পুনর্গঠন করা প্রয়োজন সেই বিষয়ে কথা বলতে আসেন, অথবা রাজনৈতিক কৌশল সম্পর্কে এবং অনেক বড় কোন ভৌগলিক কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে আসেন, তার প্রতি আমার প্রথম প্রশ্ন হবে তিনি ফজরের নামায সময়মত আদায় করেছেন কিনা।”
— সাইদ রমাদান
আল-ওয়াকি বিন আল-জাররাহ বর্ণনা করেনঃ
আমরা ঈদের দিন সুফিয়ান আস-সাওরির সাথে বাইরে বের হয়েছিলাম এবং তিনি সেদিন বলেছিলেন, ‘আজকের দিনে আমরা প্রথম যে কাজটি করবো তা হলো আমরা আমাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখবো।”
”মানুষের সাথে সুন্দর ও অমায়িক ব্যবহার করো এবং তাদের দুর্ব্যবহারে কোন কষ্ট পেলে নিজেকে রক্ষা করার জন্য চরম ধৈর্যধারণ করো যেন তুমি বধির, মূক ও অন্ধ; তাদের অসদাচরণকে তুমি অনুভবই করতে পারো নাই।”
— হেলাল ইবনে আলা’ রক্কী
“একজন মু’মিন কথা কম বলেন এবং আ’মল বেশি করেন, কিন্তু একজন মুনাফিক আ’মল কম করে এবং বেশি কথা বলে।”
“আমার কাছে রাজা-বাদশাহদের প্রাসাদের চেয়ে বই অনেক বেশি উত্তম।”
— শাইখ হামাদ আল-আনসারি
আবু হাফস আল-ফাল্লাস বলেনঃ
“আমি ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ কে তার অসুস্থতার সময় বলেছিলামঃ “আল্লাহ আপনাকে সুস্থতা দান করুন। তিনি তখন বলেছিলেন, ‘আল্লাহর কাছে যা পছন্দের, আমার কাছেও তা পছন্দের’। ”
ইবরাহীম আত-তামিমি বলেছিলেনঃ
“কেউ যখন আমার প্রতি অন্যায় করে, আমি তার প্রতিদান দেই দয়ার মাধ্যমে।”
“এই জীবনটাকে এমনভাবে গ্রহণ করো যেন তুমি সারাটি দিনভর রোজা রাখলে এবং ইফতার করলে মৃত্যুকে আলিঙ্গনের মাধ্যমে।”
— দাউদ আত-তা’ঈ (রাহিমাহুল্লাহ)
“আপনি যদি কোন ভালো কিছু করতে চান, তবে তা আগামীকালের জন্য রেখে দিবেন না; আপনি যদি এমন কিছু করেন যা আখিরাতের সাথে সম্পর্কযুক্ত, তবে যত বেশি সময় ধরে সম্ভব তা করতে থাকুন; যদি নামাজ আদায় করার সময় শয়তান আপনাকে ওয়াসওয়াসা দেয় যে আপনি (নামাজ দীর্ঘ করার মাধ্যমে) লোক দেখানো কাজ (রিয়া) করছেন, তাহলে সে নামাজকে দীর্ঘায়িত করুন।”
— আল-হারিথ ইবনে ওয়াইস
হযরত উসমানের (রাদিয়াল্লাহু আনহু) মুক্ত করে দেয়া দাস হানী বলেনঃ
“উসমান যখন কোন কবরের পাশে দাঁড়াতেন, তিনি এতটা কাঁদতেন যে তার দাড়ি ভিজে যেত।”
আল-খাতীব তার আল-জামী(২/৩৮৭) গ্রন্থে বর্ণনা করেন যে ইয়াহইয়া বিন ইয়াহইয়া বলেন:
“এক ব্যক্তি মালিক ইবনে আনাসকে প্রশ্ন করেছিলেন, “হে আবদ-আল্লাহ, আমার স্মৃতিশক্তিকে শক্তিশালী করে দিতে পারে এমন কোন কিছু কি আছে? তিনি বলেন, যদি কোন কিছু স্মৃতিকে শক্তিশালী করতে পারে তা হলো পাপ করা ছেড়ে দেয়া।”
“কোনও ব্যক্তি যদি মানুষের সামনে কথা বলতে গিয়ে দেখে যে মানুষকে শোনাতে খুব ভালো লাগছে, তবে যেন সে চুপ করে। আর যদি দেখে মানুষের সামনে চুপ করে থাকতে খুব ভালো লাগছে, তাহলে যেন বলা আরম্ভ করে।”
— উবাইদুল্লাহ বিন আবী জা’ফার
“যার আত্মসম্মানবোধ আছে সে কোনদিন দুনিয়াবী জীবনকে কোন মূল্য দেয় না।”
— মুহাম্মাদ বিন আল-হানাফিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ)
আবু বকর (রাদিয়াল্লাহু আনহু)-এর নাতি, আল-কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ বলেন:
“আমাদের সময়ে মানুষ মুখের কথা শুনে মুগ্ধ হতো না, বরং তারা মানুষের কাজ দেখে মুগ্ধ হতো। কেননা যেকোন ব্যক্তি তো যা ইচ্ছা তা বলতেই পারে।”
“তোমাদের পূর্বে যারা ছিলেন তারা আখিরাতের জীবনের জন্য সাধনা করার পর বাকি চেষ্টাটুকু করতেন দুনিয়ার কাজকর্মের জন্য। কিন্তু আজ তোমরা দুনিয়াবী কাজ শেষ করার পর অবশিষ্ট চেষ্টা করো আখিরাতের জন্য।”
— আওন বিন আবদিল্লাহ
“নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি একাই একটি শহর দখল করে ফেলে তার চেয়েও শক্তিশালী সেই ব্যক্তি যে নিজের কামনাকে জয় করে।”
— সুলাইমান বিন দাউদ (আ)
“যে ব্যক্তি তার নিজের দোষ-ত্রুটিগুলো দেখতে পায়না সে একটা বোকা।”
“নিশ্চয়ই একজন বান্দা যতটুকু কর্তব্য পালন করতে পারে তার চাইতে অনেক বেশি পাওয়ার অধিকার আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার রয়েছে এবং আমাদের প্রতি তার রাহমাত এতটাই বেশি যে তা গুণে শেষ করা সম্ভব নয়। সুতরাং, সকাল এবং সন্ধ্যায় (অর্থাৎ, সারাটা দিন জুড়ে) অনুতাপকারী হোন (ইস্তিগফার করুন)।”
— তালক ইবনে হাবীব
“আমি আশ্চর্য হয়ে যাই সেই চোখগুলোর কথা ভেবে যা কবরের গহন অন্ধকারে ঘুমানোর সময়ের দৈর্ঘ্য জেনেও ঘুমিয়ে থাকে।”
— মু’আযাহ বিনতে আবদিল্লাহ আল-বাসরিয়্যাহ
“বিনম্র হওয়া মু’মিনদের আচরণের একটি অংশ। নম্রতা হলো মানুষের প্রতি বিনয়ের ডানা নামিয়ে দেয়া, কোমলভাবে কথা বলা এবং তাদের সাথে রূঢ়ভাবে কথা না বলা — এগুলো পারস্পারিক একতা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ উপায়।”
— ইবনে বাত্তাল (রাহিমাহুল্লাহ)
“আমি সেই মানুষগুলোকে দেখে বিস্মিত হই যারা মৃত্যুকে ভয় পেয়ে তা থেকে রক্ষা পেতে খাবার খায়। অথচ জাহান্নামের আগুনের ভয়ে তা থেকে রক্ষা পেতে নিজেদেরকে পাপসমূহ থেকে বিরত রাখে না।”
— ইবনে শুবরুমাহ
আবু হুরায়রা একদিন দু’জন মানুষকে একসাথে দেখতে পেলেন এবং তাদের একজনকে জিজ্ঞাসা করলেন,
‘লোকটি সম্পর্কে আপনার কী হন?’
তিনি উত্তর দিলেন, ‘উনি আমার আব্বা।’
আবু হুরায়রা বললেন, “উনাকে কখনো নাম ধরে ডাকবেন না, তার থেকে সামনা এগিয়ে হাঁটবেন না এবং তার আগেই বসে পড়বেন না।”
ইমাম আবুল ফারাজ ইবনে আল-জাওযি বলেন:
“ইবনে আউন কখনো রাগতেন না। কেউ যদি তাকে রাগিয়ে তুলতো তাহলে তিনি তাকে বলতেন, “আল্লাহ তোমাকে রহম করুক।”
“যখন একজন খুব সম্মানিত মানুষের সাথে আপনি কোথাও বসেন, তখন আপনি খুব সতর্ক থাকেন যাতে আপনি কোন ভুল কথা বলে না ফেলেন। অথচ আপনি জানেন আপনার কথাগুলোতে আল্লাহ নজর রাখছেন এবং তা সত্ত্বেও আপনি যে কথাগুলো বলেন সেগুলো খেয়াল করে বলেন না!”
— হাতিম বিন আল-আ’সিম
বর্ণিত আছে, আল-শাফা’ই (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন:
“আমি (আমার শাইখ) ওয়াকীকে আমার খারাপ স্মৃতিশক্তির ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলাম এবং তিনি শিখিয়েছিলেন আমি যেন পাপকাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখি।
তিনি বলেন, আল্লাহর জ্ঞান হলো একটি আলো এবং আল্লাহর আলো কোন পাপচারীকে দান করা হয় না।”
“হে আদমের সন্তানেরা! তোমরা যদি জানতে চাও আল্লাহর কী বিপুল পরিমাণ রাহমাত তোমাদের উপরে রয়েছে তাহলে শুধু তোমাদের চোখগুলো বন্ধ করো।”
— বকর বিন আবদিল্লাহ (রাহিমাহুল্লাহ)
ভাইদের মধ্যে তো তারাই শ্রেষ্ঠ যারা বলে, “এসো আমরা মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত রোজা রাখি”, এবং ভাইদের মধ্যে তারাই নিকৃষ্ট যারা বলে, “এসো আমরা মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত খাওয়া-দাওয়া করি এবং পান করি।”
— ইয়াহইয়া ইবনে কাসির
“কোন ব্যক্তিকে তার প্রতিটি ভুলের জন্য বকাবকি করলে, এমনকি ছোটখাটো বিষয়ে অনবরত বকা দিলে তা ভালোবাসা কমে যাবার কারণ হবে।”
— ইমাম আবু হাতিম
“শিক্ষকদের হিংস্র ব্যবহার করার অনুমতি নেই এবং ছাত্রদের অনুমতি নেই উদ্ধত আচরণ করার।”
— মুহাম্মাদ বিন আবদিল-বাকি আল-হাম্বলি
আমারাহ বিন যাদান বর্ণনা করেন, কাহমাস বিন আল-হাসান আমাকে বলেছিলেন, “আমি একটি পাপ করেছিলাম যার অনুশোচনায় আমি চল্লিশটি বছর ধরে কাঁদছি।” আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ” সেটি কী ছিলো?”
তিনি বলেন, “আমার এক বন্ধু একবার আমার বাড়িতে অতিথি হয়ে এসেছিলো, তাই (তাকে খাওয়ানোর জন্য) আমি একটি মাছ নিয়ে আসলাম। তার খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে আমি দাঁড়িয়ে গিয়ে আমার প্রতিবেশির বাড়ির দেয়ালের এক টুকরো মাটি তুলে নিয়েছিলাম যেন আমার অতিথি তার হাত মুছে নিতে পারে। এই সেই পাপ (প্রতিবেশির অনুমুতি ছাড়াই দেয়ালের এক টুকরো মাটি তুলে নেয়া) যার কারণে আমি চল্লিশটি বছর ধরে কাঁদছি।”
“যে স্থানে থাকা আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন সেখানে আপনার উপস্থিতি এবং যেখানে থাকতে আল্লাহ আদেশ করেছেন সেখানে আপনার অনুপস্থিতির ব্যাপারে সাবধান হোন।”
— আবু হাজিম
“ছেলেদের নৈতিক অধঃপতনের একটি মূল কারণ হলো ছেলেরা একে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়।”
— ইব্রাহিম আল-হারবি
“কোন মুসলিমের অন্তরের জন্য একজন মু’মিনের সাথে মেলামেশা করা এবং তার কাজগুলো খেয়াল করে দেখার মত বেশি কল্যাণকর আর কিছু নেই। অন্যদিকে সে অন্তরের জন্য পাপাচারীদের সাথে মেলামেশা করা এবং তাদের কাজগুলোকে খেয়াল করে দেখার মতন ক্ষতিকর আর কিছু নেই।”
— আহমাদ ইবনে হারব (রাহিমাহুল্লাহ)
“নিজের দোষ-ত্রুটি যে অন্যদের চেয়ে ভালো জানে তার জন্য রয়েছে সুসংবাদ।”
— ইবনে হাজম (রাহিমাহুল্লাহ)
ইবনে আবি মুলাইকাহ বর্ণনা করেন,
ইকরিমা বিন আবি জাহল তার মুখে মুসহাফ চেপে ধরতেন আর কাঁদতেন এই বলে যে, “এ আমার রবের গ্রন্থ! আমার মালিকের বলা শব্দগুচ্ছ!”
“আমি এখনকার সময়ের মতন আর কোন সময়ের কথা জানিনা যখন মানুষের এই (হাদিসের) জ্ঞান থাকা এতটা বেশি প্রয়োজন ছিলো।”
— আবু ইসহাক আল-হুওয়াইনি
"আরোও কিছু ইসলামিক উক্তি"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
সুন্দর স্বাবলম্বী ভাষায় কমেন্ট করার অনুরোধ রইলো.....