নিশ্চয়ই সকল আমাল (এর প্রতিদান) নির্ভর করে নিয়াতের উপর, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য তাই রয়েছে, যা সে নিয়াত করে। (১:১ বুখারিঃ তাওহীদ পাবলিকেশন)

 “কারো উপরে বেশি নির্ভরশীল হয়ে যেয়ো না। মনে রেখো,

অন্ধকারে তোমার নিজের ছায়াও তোমাকে ছেড়ে চলে যায়।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)



“লোকে অতীতে কী ধরণের কাজ করতো সেই দিকে তোমাদের খেয়াল করা উচিত নয়, বরং তারা আজকে কেমন মানুষ সেই বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। যে ব্যক্তি মানুষের অতীত নিয়ে লেগে থাকে, সে তো একদম ইবলিশের মতন যে আল্লাহকে বলেছিলো, “আপনি আমাকে আগুণ থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সৃষ্টি করেছেন কাদামাটি থেকে।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)


“জ্ঞানার্জন ছাড়া দিক-নির্দেশনা অর্জন করা যায় না।

আর ধৈর্যধারণ ছাড়া সঠিক পথের দিশা অর্জন করা যায়না।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)



“ইউসুফের (আলাইহিস সালাম) রবের প্রতি তার ইখলাসের (আন্তরিকতার) পরিমাণ তাকে যে প্রলোভিত করতে চেয়েছিলো তার সৌন্দর্যের চেয়েও অনেক বেশি ছিলো।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)



“পাপকাজগুলো মানুষের চেহারাকে কুৎসিত করে দেয়।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)


“পৃথিবীর মানুষের যত পথভ্রষ্টতা তার মূল নিহিত এই দুইটি জিনিসে: হয় আল্লাহ অনুমোদন দেননি এমন কিছুকে ধর্ম হিসেবে নেয়া, অথবা আল্লাহ নিষেধ করেননি এমন কিছুকে নিষিদ্ধ করা।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)



মিশরের এক কারাগারে অন্তরীণ থাকা অবস্থায় থেকে ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) তার মায়ের কাছে চিঠিতে লিখেছিলেনঃ

“প্রিয় মা আমার, আমাকে দেয়া সকল উপহারের জন্য আমি আল্লাহর সুবহানাহু ওয়া তা’আলার প্রশংসা করি এবং তার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি। আমি আপনার কাছ থেকে এতদূরে এখানে আসতে চাইনি। যদি আকাশের পাখিরা আমাকে সাথে করে নিয়ে যেত, আমি এক্ষুনি আপনার কাছে চলে যেতাম।


প্রিয়তম মা, কখনো মনে করবেন না আমার জীবনে আপনার সান্নিধ্যে থাকার চাইতে অন্য কোন কিছুর প্রতি বেশি আকাঙ্ক্ষা আমি রাখি।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)



“একজন মানুষের অন্তর যদি রোগগ্রস্ত না হয় তাহলে সে কোনদিন, কোন অবস্থাতেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ছাড়া অন্য কাউকে ভয় পাবে না।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)


“আবু বকরের (রাদিয়াল্লাহু আনহু) মত কেউ কোনদিন রাসূলুল্লাহকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভালোবাসেনি। সুতরাং যারা আবু বকরকে ঘৃণা করে তারা শ্রেষ্ঠ মুনাফিকদের দলভুক্ত।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)



“তাঁর (আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার) পক্ষ থেকে আসা প্রতিটি শাস্তিই সম্পূর্ণরূপে ন্যায়বিচার এবং তাঁর পক্ষ থেকে আসা প্রতিটি কল্যাণ পরিপূর্ণভাবে তার দয়া (রাহমাত)।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)


“যখন কোন ছেলে এবং মেয়ে মেলামেশা করে,

তখন তা হয় আগুন এবং কাঠ সংস্পর্শে রাখার মতন।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)



“একজন ব্যক্তির অনুমতি নেই আল্লাহকে অমান্য করার কাজে অন্য কাউকে সহায়তা করা। এমনকি সেই লোক যদি কাজটিকে পাপ মনে না-ও করে, তবুও তা করা উচিত নয়। যেমন, কোন অমুসলিমকে মদ ও শুকরের মাংস সংগ্রহ করতে সহায়তা করা।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)



“ঐক্যের কথা বিবেচনা করাই সঠিক পথ।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)


“ঈমানদারদের জীবন ক্রমাগত বিভিন্ন কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি করানো হয় তাদের ঈমানকে বিশুদ্ধ এবং তাদের পাপকে মোচন করানোর জন্য। কারণ, ঈমানদারগণ তাদের জীবনের প্রতিটি কাজ করেন কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য; আর তাই জীবনে সহ্য করা এই দুঃখ-কষ্টগুলোর জন্য তাদের পুরষ্কার দেয়া আল্লাহর জন্য অপরিহার্য হয়ে যায়।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)



“পাপ হলো শেকলের মতন যা পাপকারীকে আটকে রাখে যেন সে তাওহীদের বিশাল বাগানে বিচরণ করতে এবং সেখানকার ফল সৎকর্মসমূহকে সংগ্রহ করতে না পারে।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)



“কেউ যখন আমাকে খেপিয়ে তোলে, আমি মনে করি আল্লাহর পক্ষ থেকে তা একটি উপহার। তিনি আমাকে নম্র হওয়া শেখাচ্ছেন।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)



“ইলম (জ্ঞান) যে রোগ বয়ে আনে তা হলো দাম্ভিকতা,

ইবাদাত যে রোগ বয়ে আনে তা হলো রিয়া (প্রদর্শনেচ্ছা)।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)



“নিয়্যাহ-এর প্রকৃত স্থান হলো অন্তরে, জিহবায় নয়।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)


“আমার শত্রুরা আমার কীইবা করতে পারবে? আমার জান্নাত তো আমার অন্তরে। আমি যেখানেই যাই সেটা আমার সাথে সাথেই থাকে, আমার থেকে কখনো বিচ্ছিন্ন হয়না। কারাগার আমার ইবাদতের জন্য নির্জন আশ্রয়স্থল, মৃত্যুদন্ড আমার জন্য শাহাদাতের সুযোগ, আর দেশ থেকে নির্বাসন হচ্ছে আমার জন্য এক আধ্যাত্মিক ভ্রমণ।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)



“আল্লাহ ভালোবাসা পেতে ভালোবাসেন।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)



“ঈমানদার কখনো আগ বাড়িয়ে ঝগড়া করতে যায়না বা প্রতিশোধ নিতে যায়না, এমনকি অন্যের খুঁত ধরতে এবং তাদের নিন্দা করতেও যায় না।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)


“নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণ জাতিকে সাহায্য করেন যদি তারা কাফিরও হয় এবং তিনি অন্যায়কারী জাতিকে সাহায্য করেন না যদি তারা মুসলিমও হয়। ন্যায়বিচারের মাধ্যমেই মানুষকে আল্লাহ সম্মান ও আভিজাত্য প্রদান করেন এবং সম্পদে প্রাচুর্য দেন।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)



“আরবি ভাষা নিজেই ইসলামের একটি অংশ, এবং আরবি ভাষা শেখা হচ্ছে একটি আবশ্যক দায়িত্ব। যদি কুরআন এবং সুন্নাহ জানা দায়িত্ব হয় এবং আরবির জ্ঞান না থাকলে যদি তাদের বোঝা না যায়, তাহলে তার অর্থ দাঁড়ায় যে আরবি শেখাও একটি আবশ্যক কর্তব্য।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)



“মাছের জন্য পানি যেমন, বান্দার অন্তরের জন্যে আল্লাহর স্মরণও (যিকির) ঠিক তেমন।

আর মাছকে যখন পানি থেকে আলাদা করা হয় তখন মাছের অবস্থা কেমন হয়?”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)



“বান্দা তার রব আল্লাহকে যত বেশি ভালোবাসবে অন্যান্য জিনিসকে ততই কম ভালোবাসবে এবং তাদের সংখ্যাও কমে যাবে। বান্দা তার রব আল্লাহকে যত কম ভালোবাসবে অন্যান্য জিনিসকে ততই বেশি ভালোবাসবে এবং তাদের সংখ্যাও বেড়ে যাবে।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)



“যে বিপদ-আপদ ও মুসিবত আপনাকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে দেয়, তা সেই রাহমাতের চাইতে উত্তম যা আপনাকে আল্লাহর স্মরণ থেকে বিমুখ করে দেয়।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)


“সুন্দর বিদায় হলো ক্ষতি না করে বিদায় নেয়া, সুন্দর ক্ষমা হলো বকা না দিয়ে ক্ষমা করা, সুন্দর ধৈর্য হলো অভিযোগ না রেখে ধৈর্য্ধারণ করা।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)


“যখন মানুষ পাপকাজে এবং সীমালঙ্ঘনে একে অপরকে সাহায্য করে, তখন তাদের সম্পর্কের পরিসমাপ্তি ঘটে পরস্পরের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণে।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)



“আপনি যদি লোকের অলক্ষ্যে ভালো কাজ করেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা প্রকাশ্যে আপনার উপরে তার রাহমাত বর্ষণ করবেন।”

— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)


Related Posts

"ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুন্দর স্বাবলম্বী ভাষায় কমেন্ট করার অনুরোধ রইলো.....

Iklan Atas Artikel

Middle Ad

Middle 2

Registered ad