নিশ্চয়ই সকল আমাল (এর প্রতিদান) নির্ভর করে নিয়াতের উপর, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য তাই রয়েছে, যা সে নিয়াত করে। (১:১ বুখারিঃ তাওহীদ পাবলিকেশন)

 “তুমি যদি পারো তো একজন আলেম হও। যদি তা না পারো তবে দ্বীনের জ্ঞানের একজন ছাত্র হও। যদি তা না পারো, তাহলে তাদের প্রতি ভালোবাসা দেখাও। যদি তুমি তা-ও না পারো, তাহলে (অন্ততপক্ষে) তাদের ঘৃণা করো না।”

— উমার বিন আবদুল আজিজ (রাহিমাহুল্লাহ)



“নিজেকে আল্লাহর রাহমাতসমূহের কথা বেশি করে স্মরণ করিয়ে দিন, কেননা যিনি বেশি বেশি স্মরণ করেন তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।”

— উমার বিন আবদুল আজিজ (রাহিমাহুল্লাহ) 



উমার বিন আব্দুল আযীযের (রহিমাহুল্লাহ) কাছে খবর পৌঁছল যে তাঁর ছেলে ১০০০ দিরহাম দিয়ে একটি আংটি কিনেছে। খলিফা উমার বিন আব্দুল আযীয সাথে সাথে ছেলের কাছে চিঠি লিখলেন–

“আমার কাছে খবর এসেছে তুমি ১০০০ দিরহাম দিয়ে একটি পাথরের টুকরা কিনেছ। তুমি যখনই আমার চিঠি পাবে, তখনই আংটিটি বিক্রি করে দিবে। বিক্রয়কৃত টাকা দিয়ে তুমি ১০০০ অভুক্ত মানুষকে পেট ভরে খাওয়াবে এবং তারপর ২ দিরহামের একটি লোহার আংটি কিনবে যাতে লিখবে–

“আল্লাহ যেন ঐ বান্দার প্রতি রহম করেন, যে তার নিজের মূল্যের ব্যাপারে খেয়াল রাখে”।

— উমার বিন আবদুল আজিজ (রাহিমাহুল্লাহ)



“যে ব্যক্তি জ্ঞান ছাড়াই আমল করে সে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে।”

— উমার বিন আবদুল আজিজ (রাহিমাহুল্লাহ)



“আমি কখনোই কামনা করিনি যে সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে মতানৈক্য না থাক। তাদের মতানৈক্য রহমতস্বরূপ।”

— উমার বিন আবদুল আজিজ (রাহিমাহুল্লাহ)



“কোন গাইর-মাহরাম নারীর সাথে কখনো একাকী অবস্থান করবেন না, আপনি যদি তাকে কেবল কুরআন শেখাতে যান, তবুও না।”

— উমার বিন আবদুল আজিজ (রাহিমাহুল্লাহ)



উমার বিন আবদুল আজীজ (রাহিমাহুল্লাহ) একবার উপদেশ পেয়েছিলেনঃ

“হে উমার! জনসম্মুখে আল্লাহর বন্ধু এবং লোকচক্ষুর আড়ালে আল্লাহর শত্রু হওয়া থেকে সাবধান হও। যদি কারো স্বভাব-চরিত্র প্রকাশ্যে এবং গোপনে সমান না হয়ে থাকে তাহলে সে একজন ধোঁকাবাজ (মুনাফিক) এবং মুনাফিকদের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে।”

— উমার বিন আবদুল আজিজ (রাহিমাহুল্লাহ)


খলীফা উমার বিন আবদুল আযীযের (রাহিমাহুল্লাহ) সময়ে যখন ভূমিকম্প হয়েছিল তখন বিভিন্ন দেশে তার প্রতিনিধিদের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন মুসলিমদের বলে দিতে যেন তারা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে তাওবা করে, তার কাছে বিনীত হয়ে নিজেদের সোপর্দ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য তার কাছে ইস্তিগফার করে।

— উমার বিন আবদুল আজিজ (রাহিমাহুল্লাহ)

Related Posts

"উমার বিন আবদুল আজিজ (রাহিমাহুল্লাহ)"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুন্দর স্বাবলম্বী ভাষায় কমেন্ট করার অনুরোধ রইলো.....

Iklan Atas Artikel

Middle Ad

Middle 2

Registered ad