নিশ্চয়ই সকল আমাল (এর প্রতিদান) নির্ভর করে নিয়াতের উপর, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য তাই রয়েছে, যা সে নিয়াত করে। (১:১ বুখারিঃ তাওহীদ পাবলিকেশন)

 একবার ইমাম আবু হানিফার সাথে একটি ব্যবসার অংশীদার ছিলেন বসরার জনৈক লোক । একবার ইমাম আবু হানিফা তাকে ৭০টি মূল্যবান কাপড় পাঠিয়েছিলেন এবং সেগুলোর সাথে আলাদা করে লিখে দিয়েছিলেন, “এই কাপড়গুলোর একটিতে খুঁত আছে, সেটি হলো অমুক কাপড়টি । সুতরাং, আপনি যখন কাপড়গুলো বিক্রি করবেন তখন ভালো করে খেয়াল রাখবেন যেন কাপড়ের সমস্যাটি ক্রেতাকে উল্লেখ করে দেয়া হয়।”

ইমাম আবু হানিফার ব্যবসার অংশীদার সেই লোকটি কাপড়গুলো ৩০ হাজার দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করেন এবং যখন তিনি টাকাসহ আবু হানিফার কাছে এলেন, তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, “আপনি কি কাপড়ের খুঁতগুলো বলে দিয়েছিলেন?” বসরার লোকটি উত্তর দিলেন,”আমি ভুলে গিয়েছিলাম।” আবু হানিফা সেই কাপড় বিক্রির মুনাফা থেকে কিছুই গ্রহণ করেননি বরং তার সবটুকুই সাদাকাহ করে দিয়েছিলেন।”

ইমাম আবু হানিফা (রাহিমাহুল্লাহ)



ইমাম আবু হানিফা তার ‘ইলম (জ্ঞান) এবং ‘আমালের জন্য তো বটেই, তিনি তার রসিকতাবোধের জন্যেও সুপরিচিত ছিলেন। একদিন এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলো, “হে ইমাম! যখন আমি নদীতে গোসল করি, তখন কি আমি কিবলার দিকে মুখ করবো নাকি কিবলা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখবো?

ইমাম আবু হানিফা গম্ভীরভাবে উত্তর দিলেন, “আমি যদি আপনার জায়গায় থাকতাম তাহলে আমি আমার কাপড়গুলোর দিকে মুখ ফিরিয়ে থাকতাম যেন কেউ সেগুলো নিয়ে দৌড়ে পালাতে না পারে।”

ইমাম আবু হানিফা (রাহিমাহুল্লাহ)



ইমাম আবু হানিফা (রাহিমাহুল্লাহ) তার ছাত্র আবু ইউসুফকে বলেছিলেন:

“হায় ইয়াকুব! তুমি আমার কাছে যে কথাই শোনো, সে কথাই লিখে ফেলো না, কেননা এটা নিশ্চিত যে হয়ত আজ আমি যে মত ধারণ করছি আগামীকাল সেটা ত্যাগ করবো, হয়ত আগামীকাল আরেকটা মত ধারণ করবো যা তার পরের দিন ত্যাগ করবো।”

ইমাম আবু হানিফা (রাহিমাহুল্লাহ)


Related Posts

"ইমাম আবু হানিফা (রাহিমাহুল্লাহ)"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুন্দর স্বাবলম্বী ভাষায় কমেন্ট করার অনুরোধ রইলো.....

Iklan Atas Artikel

Middle Ad

Middle 2

Registered ad