নিশ্চয়ই সকল আমাল (এর প্রতিদান) নির্ভর করে নিয়াতের উপর, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য তাই রয়েছে, যা সে নিয়াত করে। (১:১ বুখারিঃ তাওহীদ পাবলিকেশন)

 জ্ঞান সম্পর্কে হযরত আলী (রাঃ)-এর দশ টি জবাব


জ্ঞান সম্পর্কে হযরত আলী (রাঃ)-এর দশ টি জবাব


একদা ১০ জন লোক হযরত আলীর (রাঃ) নিকট হাজির হলো এবং বলল, “আমরা আপনাকে একটি প্রশ্ন করার অনুমতি চাচ্ছি।”

.

হযরত আলি (রাঃ) বললেন, “স্বাধীনভাবে আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন।”

.

তারা প্রশ্ন করলঃ “জ্ঞান ও সম্পদের মধ্যে কোনটা ভাল এবং কেন ভালো? অনুগ্রহ করে আমাদের প্রত্যেকের জন্যে একটি করে জবাব দিন।”

*

জবাবে হযরত আলী (রাঃ) নিম্নলিখিত ১০টি উত্তর দিলেনঃ

*

১) জ্ঞান হলো মহানবীর সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নীতি, আর সম্পদ ফেরাউনের উত্তরাধিকার। সুতরাং জ্ঞান সম্পদের চেয়ে উত্তম।

*

(২) তোমাকে সম্পদ পাহারা দিতে হয়, কিন্তু জ্ঞান তোমাকে পাহারা দেয়। সুতরাং জ্ঞান উত্তম।

*

(৩) একজন সম্পদশালীর যেখানে শত্রু থাকে অনেক, সেখানে একজন জ্ঞানীর অনেক বন্ধু থাকে। অতএব জ্ঞান উত্তম।

*

(৪) জ্ঞান উত্তম, কারণ এটা বিতরণে বেড়ে যায়, অথচ সম্পদ বিতরণে কমে যায়।

*

(৫) জ্ঞান উত্তম, কারণ একজন জ্ঞানী লোক দানশীল হয়, অন্যদিকে সম্পদশালী ব্যক্তি কৃপণ।

*

(৬) জ্ঞান চুরি করা যায় না, কিন্তু সম্পদ চুরি হতে পারে। অতএব জ্ঞান উত্তম।

*

(৭) সময় জ্ঞানের কোন ক্ষতি করে না, কিন্তু সম্পদ সময়ের পরিবর্তনে ক্ষয় পেয়ে যায়, নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং জ্ঞান উত্তম।

*

(৮) জ্ঞান সীমাহীন, কিন্তু সম্পদ সীমাবদ্ধ এবং গোণা যায়। অতএব জ্ঞান উত্তম।

*

(৯) জ্ঞান হৃদয়- মনকে জ্যোতির্ময় করে, কিন্তু সম্পদ একে মসিলিপ্ত করায় মত্ত। সুতরাং জ্ঞান উত্তম।

*

(১০) জ্ঞান উত্তম। কারণ জ্ঞান মানবতাবোধকে উদ্বুদ্ধ করে যেমন আমাদের মহানবী সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহকে বলেছেনঃ “আমরা আপনার উপাসনা করি, আমরা আপনারই দাস।” (সুরা ফাতিহাঃ ৪)

.

অন্যদিকে সম্পদ ফেরাউন ও নমরুদকে বিপদগ্রস্ত করেছে। যারা দাবী করে যে তারা ইলাহ।’

.

(#সূত্রঃ হায়াতুস সাহাবা রদীয়াল্লহু আনহুম)

.

সুবহানআল্লাহ! রসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং হযরত আলী (রাঃ) এর জ্ঞানের প্রশংসা করেছেন। .

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ

.।।।

"আমি হলাম ইলমের শহর। আর আলী হল এর দরজা। সুতরাং যে ব্যক্তি শহরে প্রবেশ করতে চায়, সে যেন দরজা দিয়ে আসে।"

_____________

{মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-৪৬৩৭, আলমুজামুল কাবীর লিততাবারী, হাদীস নং- ১০৬১, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৩২৮৯০, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-৫৭৪২}


repost

Related Posts

"জ্ঞান সম্পর্কে হযরত আলী (রাঃ)-এর দশ টি জবাব"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুন্দর স্বাবলম্বী ভাষায় কমেন্ট করার অনুরোধ রইলো.....

Iklan Atas Artikel

Middle Ad

Middle 2

Registered ad