“কোন ভাই যদি আপনাকে গোপনে কিছু কথা বলে চলে যাবার আগে যদি তা অন্য কাউকে বলতে নিষেধ না করেও থাকেন, তবু কথাগুলো আপনার জন্য আমানাত।
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলতেন:
“এসো আমরা আমাদের ঈমানকে বাড়াই, আর তাই চলো আমরা আল্লাহকে স্মরণ করি।”
”যিনি ছাড়া কোন রব নেই সেই আল্লাহর কসম, যদি আমার কাছে দুনিয়ার সকল স্বর্ণ এবং রৌপ্য থাকতো, আমি সেগুলোর বিনিময়ে হলেও মৃত্যুর পরে যে ভয়াবহতা রয়েছে তা থেকে বাঁচার চেষ্টা করতাম।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
“যারা সবসময় ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করে তাদের সাথে উঠাবসা করুন, কেননা তাদের হৃদয় সবচেয়ে কোমল।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা চিন্তাভাবনা করছিলেন। হযরত উমার (রা) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কেন তোমার স্ত্রীকে তালাক দিতে চাও?
সে উত্তর দিলো, “আমি তাকে ভালোবাসি না।”
উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, “সমস্ত সংসারের ভিত্তি কি ভালোবাসা হতেই হবে? পারস্পারিক সহানুভূতি আর আনুগত্যের কী হবে?”
“নিজেকে নিয়মিত জাহান্নামের (আগুণের) কথা স্মরণ করিয়ে দিন, কেননা নিশ্চিতভাবেই জাহান্নামের উত্তাপ অত্যন্ত বেশি, গভীরতা অত্যাধিক এবং তার অস্ত্র হলো লোহা।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
“আমরা তো মর্যাদাহীন লোক ছিলাম, আল্লাহ আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন ইসলামের মাধ্যমে। সুতরাং, আমরা যদি আল্লাহ আমাদেরকে যা দ্বারা সম্মানিত করেছেন তা থেকে দূরে সরে গিয়ে অন্য কোথাও সম্মান খুঁজি তাহলে আল্লাহ আমাদেরকে পুনরায় অপমানিত করবেন।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
“আজকের কাজ আগামীকাল করার জন্য রেখে দিবেন না। পরে দেখা যাবে কাজগুলো জমা হয়ে যাবে এবং আপনি কিছুই অর্জন করতে পারবেন না।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
“আল্লাহকে ভয় করো, কেননা যে তাকে ভয় করে সে কখনো একাকীত্ব অনুভব করে না।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
“আমি সাদা পোশাক পরিহিত কুরআন তিলাওয়াতকারীর দিকে তাকাতে ভালোবাসি।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
“কুরআন তিলাওয়াত করতে দেখে বোকা হয়ে যেয়ো না কারণ তখন আমরা কেবল শব্দগুলো উচ্চারণ করি। বরং, তার দিকে লক্ষ্য করো যে কুরআন অনুযায়ী আমল করলো।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
“যতক্ষণ তোমার ভাইয়ের বলা কোন কথার ব্যাপারে তোমার কাছে ভালো কোন ব্যাখ্যা আছে ততক্ষণ তা নিয়ে কোন খারাপ ধারণা পোষণ করবে না।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেনঃ
“তোমাদের ভালোবাসা যেন নির্বুদ্ধিতায় পরিণত না হয়, তোমাদের ঘৃণা যেন ধ্বংসে পরিণত না হয়।”
তাকে প্রশ্ন করা হলো, “সেটা কীভাবে হয়?”
তিনি উত্তর দিলেন,
“যখন তোমরা ভালোবাসো, তোমরা শিশুদের মতন নির্বোধ হয়ে যাও। আর যখন ঘৃণা করো, তখন তোমরা তোমাদের সঙ্গীদের ধ্বংস কামনা করতে ভালোবাসো।”
“যতদিন আপনার হৃদয় পরিশুদ্ধ থাকবে, ততদিন আপনি সত্য কথা বলবেন।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
“তোমরা অন্যদের আরবি ভাষা শেখাও কেননা এটা তোমাদের দ্বীনের একটি অংশ।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
আবু আল-আশহাব বলেন:
একদিন উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) একটি ময়লা-আবর্জনার স্তূপ অতিক্রম করার সময় থমকে দাঁড়ালেন, দেখে মনে হচ্ছিলো তার সঙ্গীগণ এতে (দুর্গন্ধে) কষ্ট পাচ্ছিলেন। তিনি বললেন, “এটা তোমাদের সেই পৃথিবী যার জন্য তোমাদের এত আগ্রহ এবং যার জন্য তোমরা কান্নাকাটি করো।”
“প্রকৃতপক্ষে ইসলামের ভিত্তিগুলো একের পর এক ক্ষতিগ্রস্ত হবে যদি ইসলামে এমন মানুষদের আবির্ভাব হয় যারা কখনো অজ্ঞতাকে চিনতে পারেনি।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
“সেই মানুষগুলোর মাঝে ভালো কিছু নেই যারা অন্যদের সদুপদেশ দেয় না, এবং সেই মানুষদের মাঝে ভালো কিছু নেই যারা উপদেশ গ্রহণ করতে পছন্দ করে না।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) তার খিলাফতকালে গভর্নরদের প্রতি তার লেখা চিঠিতে বলেছিলেন:
“আপনাদের ব্যাপারে যে বিষয়টি আমার চোখে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো নামাজ; যে নিয়মিত নামাজ আদায় করে সে তার ঈমানকে সুরক্ষিত করে, কিন্তু যে নামাজকে অবহেলা করে, সে ঈমানের অন্যান্য বিষয়গুলোতে অবহেলা করতে বাধ্য হয়।”
“নিজেকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কথা স্মরণ করিয়ে দাও কারণ তাতে রয়েছে রোগের উপশম, মানুষজনের কথা নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিয়ো না কেননা ওটা হলো রোগ।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
“একাকী হয়ে যাওয়ার অর্থ হলো তুমি খারাপ সঙ্গ পরিত্যাগ করেছ। কিন্তু একজন ভালো বন্ধু থাকা একাকীত্বের চাইতে উত্তম।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
“আমাদের জীবনের সবচাইতে স্বাস্থ্যকর উপাদান হচ্ছে সবর (ধৈর্য)।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
“তোমাদের মধ্যে যারা ফাতওয়া দেয়ার ব্যাপারে দুঃসাহসী তারা দুঃসাহসী (পাপ করে) জাহান্নামে যাওয়ার ব্যাপারেও।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
“কোন মুসলিম ভাইয়ের মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসা কোন শব্দের কারণে তার প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করবেন না যতক্ষণ পর্যন্ত সেটির পেছনে ভালো কোনো কারণ খুঁজে পাবেন।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
উতবান ইবনে মুসলিম (রা) বলেন যে, একবার তিনি ৩০ মাস উমার বিন খাত্তাবের (রাদিয়াল্লাহু আনহু) সঙ্গী ছিলেন। সে সময় উমারকে (রা) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয় এবং তিনি প্রায়ই বলতেন যে, তিনি জানেন না।
“জাহিলিয়াতের প্রকৃতি অনুধাবনে ব্যর্থতা শুরু হলে একে একে ইসলামের বন্ধনী বিচ্ছিন্ন হতে থাকবে।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
“আল্লাহর আনুগত্য করা ছাড়া অন্য কোন মাধ্যমে আল্লাহর সাথে একজন ব্যক্তির কোন সম্পর্ক থাকে না।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
“যারা অন্যদের মন কাড়তে এমন কিছু বিষয় দাবী করে যা তাদের মাঝে নেই, আল্লাহ তাদেরকে অপমানিত করবেন।”
— উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
"উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
সুন্দর স্বাবলম্বী ভাষায় কমেন্ট করার অনুরোধ রইলো.....