“কোরআনের ছায়াতলে জীবন অতিবাহিত করতে পারাটা এক বিশাল অনুগ্রহ। এ ব্যাপারটি কেবল তাদের দ্বারাই উপলব্ধি করা সম্ভব যারা এর অভিজ্ঞতা লাভ করতে পেরেছে। এ এক এমন সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা যা জীবনকে উদ্দেশ্যমন্ডিত করে এবং তাকে বাঁচার উপযোগী করে তোলে।”
— উস্তায সাইয়্যিদ কুতুব (র)
মু’মিন প্রকৃতপক্ষেই শ্রেষ্ঠ। কারণ তারা যেমন শ্রেষ্ঠ, তেমনি শ্রেষ্ঠ তাঁর আকীদা-বিশ্বাসের উৎস। বিশাল সাম্রাজ্য তার দৃষ্টিতে নগণ্য মাত্র। বিপুল শক্তির অধিকারী ব্যক্তিবর্গ তার নিকট তুচ্ছ। সমাজে প্রচলিত জনপ্রিয় সংখ্যক মানুষকে কোন বিষয় পছন্দ করতে দেখেই মু’মিন সে বিষয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায় না। এদিক থেকে মু’মিনের স্থান সকলের শীর্ষে। সে সকল জ্ঞানের উৎস একমাত্র আল্লাহ তাআলার নিকট থেকে পথের সন্ধান লাভ করেছে। প্রতিটি বিষয়ে সে মহান আল্লাহর নির্দেশ জানতে চায় এবং সেখান থেকে যখন যে বিষয়ে যেরূপ হেদায়াত লাভ করে, তা-ই সে মেনে চলে।
— উস্তায সাইয়্যিদ কুতুব (র)
“যে সমাজে মানবীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতার প্রাধান্য থাকে সে সমাজই সভ্য সমাজ। মানবীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতা রহস্যময় এবং ব্যাখ্যাতীত কোন বিষয় নয়, না তো তারা ইতিহাসের বস্তুতান্ত্রিক ব্যাখ্যাদানকারী বা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রীদের দাবী অনুযায়ী ‘প্রগতিশীল’ এবং সদা পরিবর্তনশীল এমন কোন বিষয় যার কোন মূল এবং স্থিতিশীলতা নেই। এই মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা মানুষের মধ্যে সেসব গুণাবলীর জন্ম দেয় যা তাকে পশু থেকে আলাদা করে এবং মানুষের সেদিকের উপর বেশী জোর দেয় যা তাকে পশুত্বের উর্ধ্বে নিয়ে যায়। এই মানবীয় মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা এমন কোন বিষয় নয় যা মানুষের পাশবিক দিকগুলোর বিকাশ সাধন করে এবং সেগুলোর উপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করে”
— উস্তায সাইয়্যিদ কুতুব (র)
“একমাত্র ইসলামী সমাজই আকীদা-বিশ্বাসের ভিত্তিতে মানুষকে পরস্পরের সাথে অটুট ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে এবং ঐ আকীদা-বিশ্বাসের সূত্র ধরেই কালো ও সাদা, আরব ও গ্রীক, পারসী ও নিগ্রো এবং পৃথিবীতে বিদ্যমান শতধাবিভক্ত জাতিগুলোকে একই সারিতে দাঁড় করিয়ে একই উম্মাতে শামিল করে নেয়। এ সমাজের সর্বময় কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর এবং মানুষ শুধু তাঁরই সমীপে মাথা নত করে, অন্য কারো নিকট নয়। যে ব্যক্তির চরিত্র যত উন্নত এ সমাজে তার মর্যাদা ততই উচ্চ। আল্লাহ প্রদত্ত আইনের চোখে সমাজের সকল মানুষই সমান।
যে সমাজে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দেয়া হয় এবং যেখানে মানুষের চারিত্রিক উৎকর্ষ সাধনই প্রাধান্য লাভ করে, সে সমাজই সত্যিকার অর্থে সভ্য সমাজ। অন্যান্য সমাজে প্রাধান্য লাভ করে বস্তুবাদ। অবশ্য বস্তুবাদ বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপে আত্মপ্রকাশ করে।.. ”
— উস্তায সাইয়্যিদ কুতুব (র)
প্রভাত বেলার মৃদু সমীরণ ও গোধুলি বেলার স্নিগ্ধতা বয়ে আনে সৃষ্টিকর্তার স্নেহের পরশ,সুদূর নীল আকাশে তারকারাজির লুকোচুরি খেলে এবং স্থল ও পানি ভাগের অন্ধকারের মধ্যে লুকিয়ে থাকা গোপন রহস্য, মানুষের প্রয়োজন মেটানোর জন্যে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ এবং মুষলধারে বৃষ্টি সিষ্ণিত ফসলের সমারোহ,গাছগাছালি ও পাকা পাকা ফলের দৃশ্য এসব কিছু লা শরীক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর একত্বের ঘোষনা দেয়,জানায় নিঃসন্দেহে তিনিই এগুলোর সৃষ্টিকারী।
— উস্তায সাইয়্যিদ কুতুব (র)
“মতপার্থক্য কখনো বিতর্ক উস্কে দেয় না। অহং-ই (ইগো) মূলত কোন মতবাদে বিশ্বাসী এমন প্রত্যেকেকে বিতর্ক চালিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করে যখন তার সামনে পরিস্কার হয়ে যায়, সত্য তার মতবাদে নিহিত নয়। আসলে, সে যখন দাঁড়িপাল্লায় নিজের অহং আর সত্যকে স্থাপন করে শুরুতেই নিজের অহং-এর (ইগো) পাল্লায় ভার বেশী দিয়ে দেয়।”
— উস্তায সাইয়্যেদ কুতুব (রাহিমাহুল্লাহ)
"উস্তায সাইয়্যিদ কুতুব (রাহিমাহুল্লাহ) "
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
সুন্দর স্বাবলম্বী ভাষায় কমেন্ট করার অনুরোধ রইলো.....