নিশ্চয়ই সকল আমাল (এর প্রতিদান) নির্ভর করে নিয়াতের উপর, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য তাই রয়েছে, যা সে নিয়াত করে। (১:১ বুখারিঃ তাওহীদ পাবলিকেশন)

Ayatul Qursi -  আয়াতুল কুরসি

Ayatul Qursi 
Surah Al-Baqara 255 no. Ayat
Imam
Sheikh Abdul-Rahman Al-Sudais 

Bangla Translate
Anower Shahi
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
আয়াতুল কুরসি: সূরা আল-বাকারাহ্‌ ২৫৫

প্রত্যেক সালাতের পর একবার। 
আর তা হচ্ছে,

اللّٰهُ لَآ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ ۚ 

আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যূল কাইয়্যূমু

আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ্ নেই।
তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক।


لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلَا نَوْمٌ ۚ

লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম।

তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্রাও নয়।


لَّهُ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ ۗ 

লাহূ মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্বি।

আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর।



مَنْ ذَا الَّذِى يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهٖ ۚ 

মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বিইযনিহী।

কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে?



يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ 

ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম।

তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা তিনি জানেন।



وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَىْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖٓ إِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ 

ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহী ইল্লা বিমা শাআ।

আর যা তিনি ইচ্ছে করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টন করতে পারে না।


وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضَ ۖ 

ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব।


তাঁর ‘কুরসী’ আসমানসমূহ ও যমীনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে;


وَلاَ يَؤُوْدُهُ حِفْظُهُمَا ۚ 

ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা

আর এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না।


وَهُوَ الْعَلِىُّ الْعَظِيْمُ

ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযীম

আর তিনি সুউচ্চ সুমহান।


“যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পরে এটি পড়বে, তাকে মৃত্যু ব্যতীত জান্নাতে প্রবেশে আর অন্য কিছু বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।”

নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ, নং ১০০; ইবনুস সুন্নী, নং ১২[১] আর শাইখ আলবানী হাদীসটিকে সহীহুল জামে‘ ৫/৩৩৯ তে এবং সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহা ২/৬৯৭, নং ৯৭২ তে সহীহ বলেছেন। আর আয়াতটি দেখুন, সূরা আল-বাকারাহ্‌-২৫৫।

➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
উবাই ইবনে কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, “হে আবূ
মুনযির ! তুমি কি জান, মহান আল্লাহর গ্রন্থ
(আল-কুরআন) এর ভিতর তোমার যা মুখস্থ
আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় (মর্যাদাপূর্ণ)
আয়াত কোন্‌টি ?” আমি বললাম, ‘সেটা হচ্ছে
আয়াতুল কুরসি ।’ সুতরাং তিনি আমার বুকে
চাপড় মেরে বললেন, “আবুল মুনযির ! তোমার
জ্ঞান তোমাকে ধন্য করুক ।” (মুসলিম)


ফুটনোটঃ
( মুসলিম ৮১০, আবূ দাঊদ ১৪৬০, মুওয়াত্তা মালিক ১৮৭) 

রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১০২৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖

সূরা আল-বাকারাহ্‌, ২৫৫। 
(আয়াতুল কুরসি)
যে ব্যক্তি সকালে তা বলবে সে বিকাল হওয়া
পর্যন্ত জিন শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয়ে থাকবে, আর যে ব্যক্তি বিকালে তা বলবে সে
সকাল হওয়া পর্যন্ত জিন শয়তান থেকে
আল্লাহর আশ্রয়ে থাকবে।

হাদীসটি হাকিম সংকলন করেছেন, ১/৫৬[২]
আর শাইখ আলবানী একে সহীহুত তারগীব ওয়াত-তারহীবে সহীহ বলেছেন ১/২৭[৩] আর
তিনি একে নাসাঈ, তাবারানীর দিকে সম্পর্কযুক্ত করেছেন এবং বলেছেন, তাবারানীর
সনদ ‘জাইয়্যেদ’ বা ভালো।
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেন: “যে কেউ যখন রাতে আপন বিছানায়
যাবে এবং ‘আয়াতুল কুরসী’ পড়বে, তখন সে
রাতের পুরো সময় আল্লাহর পক্ষ থেকে তার
জন্য হেফাযতকারী থাকবে; আর সকাল হওয়া
পর্যন্ত শয়তান তার নিকটেও আসতে পারবে না।”

বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ), ৪/৪৮৭, নং ২৩১[১]









Ayatul Qursi -  আয়াতুল কুরসি

Related Posts

"Ayatul Qursi - আয়াতুল কুরসি"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুন্দর স্বাবলম্বী ভাষায় কমেন্ট করার অনুরোধ রইলো.....

Iklan Atas Artikel

Middle Ad

Middle 2

Registered ad